বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:: সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনীতা দাশ (২৯) নামের এক নার্সের ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সাউদের শ্রী গ্রামের সুব্রত কুমার দাশের মেয়ে।
এ ঘটনায় নবনীতার বাবা সুব্রত কুমার দাশ বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নবনীতার স্বামী সৌমেন দাশকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর স্বামী সৌমেন দাশ দাবি করেন, নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রামে ভাড়া বাসা থেকে নবনীতার ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়ার কথা জানান তার স্বামী সৌমেন দাশ। তিনি মরদেহ উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েছিলেন। রাত ৯টার দিকে পুলিশ খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। বিয়ের আগে থেকেই নবনীতা চাকরিসূত্রে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নয়াগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে একই গ্রামের সৌমেন দাশকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সৌমেনের পরিবার তাদের মেনে নিলেও নবনীতার পরিবার বিয়ে মেনে নেয়নি। বিয়ের পর তারা নয়াগ্রামেই থাকতেন।
নবনীতা নার্সের চাকরি করলেও স্বামী সৌমেন দাশ বেকার ছিলেন। তিনি কাজের সন্ধান করছিলেন। স্বামীর বেকারত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তাদের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে নবনীতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পান বলে জানান স্বামী সৌমেন দাশ। পরে তিনি নবনীতাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নবনীতার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, স্বামী সৌমেন দাবি করেন নবনীতা আত্মহত্যা করেছেন। তবে নবনীতার বাবা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেছেন। ওই মামলায় সৌমেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সৌমেনকে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিএ/১৪ নভেম্বর